Wednesday, December 25, 2013

নুড়ি পাথরের নবীজির রাসুল হওয়ার সাক্ষ্য দান

একদা আবু জাহল তার হাতে কিছু নুড়ি পাথর নিয়ে  নবীজিকে বলল , আপনি সত্য নবী হলে বলুন , আমার হাতে কি আছে ?
 নবীজি বললেন , তুমি যদি চাও তবে আমি বলে দেব তোমার হাতের ভিতরে কি বস্তু আছে আথবা ওই বস্তুই বলে দিবে আমি আল্লাহর রাসুল।
আবু জাহল বলল , দ্বিতিয় ব্যবস্থা তো নিতান্তই অসাধারন ।
নবী করিম (সাঃ) বললেন , আল্লাহতালা এটা অপেক্ষা অধিক ক্ষমতা রাখেন। 
নবী করিম (সাঃ) বললেন ,তোমার হাতের ভিতর ছয়টি পাথর খণ্ড আছে, প্রত্যেকটি  থেকে ঠিকঠিক শব্দ শোন। আবু জাহেল এর মুঠোর ভিতর থেকে পাথরের খণ্ডগুলো অবিলম্বে (তার রাসুল হওয়ার) সাক্ষ্য দান -এ কলেমা উচ্চারন করল- লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মোহাম্মাদুর  রাসুলুল্লাহ ।
 আবু জাহল  যখন পাথর খণ্ডসমূহ থেকে এ বাক্য  শুনল তখন ক্রোধবশে সেগুলো মাটিতে ফেলে দিলো এবং বলল ,তোমার তুল্য অপর কোন যাদুকর হতে পারেনা। তুমি যাদুকর সম্প্রদায়ের শিরামনি। আবু জাহেল নিজ চোখে ওই মোজেযা  দেখেও বদনছিব হতভাগা এবং সত্যির বিরুদ্ধে অধিক কঠোর হয়ে গেল, সত্য ধর্মের বিরোধিতায় আরও অগ্রসর হয়ে উঠল । 

Friday, December 20, 2013

ইবলিস শয়তানের আত্মপরিচয়


kqZvb g~jZ: wRb RvZxi AšÍ©fz³|wR¡b RvwZ Avjøvni wb‡`©wkZ c_ †_‡K wePz¨Z n‡q covi 36,000 nvRvi ci Giv wbgy©j I aŸsm n‡q hvq| ZLb gyËvKxb  ev †Lv`v fxiæ wR‡bivB iÿv †c‡qwQj| GB mgq ÓwnwjqvmÓ bvgK GK wR¡b‡K gyËvKx  wR¡b‡`i †bZv wnmv‡e g‡bvbxZ Kiv nq| GivI cieZ©xKv‡j c_åó n‡q coj Ges c_åóZvi 36000 nvRvi eQi ci GivI aŸsm n‡q hvq|wKš‘ Gevi gyw³cÖvß R¡xb‡`i  g‡a¨ wejwKqvÓ bvgK GK R¡xb‡K G‡`i `jcwZ Kiv nq|  GivI cieZ©xKv‡j wec`Mvgx n‡q c‡o | d‡j GivI 36 nvRvi eQi ci wbgy©j n‡q hvq|Z‡e GeviKvi gyw³cÖvß wR¡b‡`i g‡a¨ Õmvgy`Óbv‡g GK wR¡b‡K G‡`i `jcwZ wbe©vwPZ Kiv nq| wKš‘ GivI hLb cieZ©xKv‡j c_åó nj ZLb GivI PZz_©ev‡ii gZ ‡Lv`v Zvjvi Awfkv‡c Awfkß n‡q 36000 nvRvi eQi ci aŸsm n‡q hvq | Gi ci aŸsm cÖvß R¡xb‡`i ga¨ †_‡K wKQz msL¨K wR¡b cvnvo I ce©‡Z cvwj‡q AvZ¥iÿv Ki‡Z mÿg nq| Gme cjvZK R¡xb‡`i g‡a¨ †ewkifvM R¡xb wQj ci‡nhMvi| wKš‘ G‡`i g‡a¨ Aíeq¯‹ mykÖx †Pnvivi GKwU wR¡b I wQj| Zvi bvg wQj Avhvwhj| †d‡ikZvMb Zv‡K nZ¨v bv K‡i wb‡R‡`i ms‡M K‡i wb‡q hvb Ges Zv‡K cÖwZcvjb Ki‡Z _v‡Kb| Avhvwhj †d‡ikZv‡`i mnP‡h© _vKvi d‡j †m ¯^fve -Pwi‡Î AwZ DËg n‡q DVj Ges Avjøvncv‡Ki Avivabvq `ªæZ DbœwZ jvf Ki‡Z jvMj| GB mgq †m mvZwU m¤§vbRbK Dcvwa‡Z wefzwlZ nq| cwi‡k‡l †m gyqvwjøg - G - gvjvKvZ ev †d‡ikZv‡`i ¸iæ Dcvwa‡Z L¨wZ jvf K‡i |

BwZg‡a¨ Av‡k©gyqvjøv msjMœ GKwU ¯’v‡b GKwU  weivUKvq jvD‡n byi G GKwU wjwLZ weÁwß †`Iqv nq †h, Ó Avgvi †Kvb ev›`vn AwZmZ¡I Awfkß n‡q co‡e| GB evYx  Rvbvi ci †d‡ikZvMb fxZ mš¿¯Í n‡q c‡o | ZLb Avhvhxj †d‡ikZv‡`i‡K Afq w`‡q ejj, GB evbx nvRvi eQi cy‡e©B Avgvi `„wó‡MvPi n‡q‡Q| G‡Z fxZ nevi †Kvb KviY bvB| †Kbbv Avgiv mevB †Lv`vZvjvi eva¨MZ ev›`v|eis †h †Lv`v‡`ªvnx n‡e , †m-B Awfkß n‡e Ges Bewj‡m cwiYZ n‡e|GgbwK ZLb †m wb‡RI e‡j DVj,Bewj‡mi Dci †Lv`vi Awfm¤úvZ ewl©Z nDK|Ó GgbI ewY©Z Av‡Q ,‡d‡ikZv‡`i fxZ nIqvi Kvi‡b Avhvhxj e‡jwQj,G †hb Avgvi fv‡M¨ N‡U|Ó Kx Avð‡h©¨i welq ,cieZ©xKv‡j Av`g‡K wmR`v bv Kivi Aciv‡‡a ‡m wb‡RB Awfkß Bewj‡m cwiYZ nj| Bewj‡mi wcZvi bvg wQj Lwem| Lwe‡mi PwiÎ I AvK…wZ I cÖK…wZ wQj wms‡ni gZ| Bewj‡mi gv‡qi bvg wQj bxjwem| bxjwe‡mi AvK„wZ cÖK…wZ wQj ev‡Ni b¨vq| G‡`i evm ¯’vb wQj †`vh‡L| Df‡qi wgjb †_‡KB Rb¥ nq Bewj‡mi, Z_v kqZv‡bi| 

Thursday, December 19, 2013

স্মার্ট ফোন ভালো রাখার নিয়ম

স্মার্টফোনে কল করা ছাড়াও ইন্টারনেটসহ নানা কিছু করা যায় এর পর্দা ছুঁয়ে ছুঁয়ে কাজ করতে হয় তাই যন্ত্রটি ভালো রাখতে চাইলেচাই আলাদা যত্ন
কেনার আগে কী কী বিষয় দেখবেন?

l স্মার্টফোনের গায়ে IMEI নম্বর এবং প্যাকেটের গায়ে IMEI নম্বর আছে কি না সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে
l
স্মার্টফোনটির IMEI সার্চ করে দেখতে হবে ফোনটি ব্র্যান্ডের কিনা
l
স্মার্টফোনটি এর আগে ব্যবহার হয়েছে কি না, তা বুঝতে এর Life Time অপশনে গিয়ে সময়টা দেখে নিন
l
কেনার সময় অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে ব্যাটারি, চার্জার, হেডফোন ঠিকমতো আছে কি না
l
কোন ধরনের ওয়ারেন্টি আছে তা বিক্রেতার কাছ থেকে বুঝে নেবেন। অবশ্যই ওয়ারেন্টি কার্ডটি নিয়ে তা সংরক্ষণ করবেন
l
স্মার্টফোনটির গায়ে দাগ আছে কি না সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। 
কেনার পর প্রথম কাজ
l আপনার স্মার্টফোনটি বন্ধ করে চার্জ দিন। ন্যূনতম দুই ঘণ্টা চার্জ দেওয়া ভালো
l কখনো সাড়া রাত চার্জে রাখবেন না
l মোবাইল ফোনের সংযোগ পেতে স্মার্টফোনের জন্য সাধারণত তিন ধরনের সিমকার্ড (সাধারণ, মাইক্রো ন্যানো) লাগে। আপনার স্মার্টফোনের ট্রে অনুযায়ী সিম লাগাতে হঢ। মাইক্রো ন্যানো সিম কেটে ব্যবহার না করাই ভালো। কারণ, অনেক সময় সিমকার্ড কাজ করে না।মাইক্রো বা ন্যানো সিম কার্ড সংযোগদাতা কাছ থেকে সংগ্রহ করা ভালো

সাধারণ যত্ন
যন্ত্রাংশ: চার্জ করার জ্যাকপিন যত্ন নিয়ে ব্যবহার করতে হবে
l ফোনটি যেন হাত থেকে পড়ে না যায়। অনেক সময় পড়ে গিয়ে পর্দা নষ্ট হয়ে যায়
l পানিতে যেন না পড়ে স্মার্টফোন। পানিতে পড়লে যন্ত্রে সমস্যা হবে
l স্মার্টফোনটি বালিশের নিচে চাপা না পড়ে, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে
l জিনস বা কোনো প্রকার আঁটোশাঁটো প্যান্টের পকেটে না রাখাই ভালো

সফটওয়্যার: সংস্করণ না বুঝে হালনাগাদ করবেন না
l অপ্রয়োজনীয় কোনো প্রোগ্রাম নামাবেন না
l ব্লু টুথ দিয়ে অনেক বেশি তথ্য আদান-প্রদান না করাই ভালো। অনেক সময় স্মার্টফোন হ্যাং হয়ে যেতে পারে
l সফটওয়্যার ফরম্যাট করার ক্ষেত্রে দরকারি সব কিছু অন্যকোথাও সংরক্ষল করে রাখতে হবে
লেখক: স্বত্বাধিকারী, সাইম টেকনোলজি


Wednesday, December 4, 2013

প্রাচীন পৃথিবীর সপ্তাশ্চর্য

আমাদের এই পৃথিবীটা যে সত্যিই সুন্দর তা একটু ভালো করে দেখলেই বোঝা যায়। সেই আদ্দিকাল থেকেই কতোই না অবাক করা আশ্চর্য অদ্ভুদ সব বিষয়-আশয়, জিনিসপত্র পৃথিবীতে রয়েছে। এর কোনোটা প্রকৃতিই তার আজব খেয়ালে তৈরি করেছে আবার কোনো কোনোটি মানুষ তৈরি করেছে। মোদ্দা কথা হলো, এসবের প্রত্যেকটিই মানুষের কাছে আজও বিস্ময়ের, আশ্চর্যের; যে রহস্য আজো উদঘাটন করা সম্ভব হয়নি। প্রকৃতির অদ্ভুত সব সৃষ্টি আর মানুষের বিচিত্র খেয়ালে পৃথিবী সবসময়ের জন্যই সুন্দর। মানুষ পৃথিবীতে যেসমস্ত আশ্চর্য রহস্যঘেরা জিনিস তৈরি করেছে তার অনেকগুলোই আজ আর নেই। এর কোনোটা ধ্বংস হয়ে গেছে আবার কোনোটাকে মানুষ নিজেই ধ্বংস করেছে।

বিজ্ঞানীরা মানুষের তৈরি এই সমস্ত আশ্চর্য জিনিসগুলোকে সময়ের হিসেবে কয়েকটি যুগে ভাগ করেছেন। এগুলো হলো- প্রাচীন যুগ, মধ্য যুগ এবং আধুনিক যুগ। আজকে আমরা প্রাচীন যুগের রহস্যঘেরা সেইসব আশ্চর্য নির্মাণের কথাই শুনবো। চল তাহলে সেই আর্শ্চয সুন্দর রোমাঞ্চকর প্রাচীন পৃথিবী থেকে খানিক বেড়িয়ে আসি।
গিজার পিরামিড

মরুভূমির একটি দেশ- মিশর। প্রাচীনকালে এই মিশরেই গড়ে উঠেছিলো এক উন্নততর সভ্যতা। প্রাচীন মিশরে ফারাও রাজবংশের রাজারা একসময় রাজত্ব করতেন । সেসময়ে মিশরের মানুষেরা বেশ কিছু অদ্ভুত বিষয়ে বিশ্বাস করতো। তারা বিশ্বাস করতো পৃথিবীতে মানুষের বাস খুব স্বল্প সময়ের জন্য, আর মৃত্যুর পরবর্তী জীবন হলো অনন্ত সুখের। তাদের বিশ্বাস ছিলো- মৃত্যুর পর তাদের মৃতদেহ যদি অক্ষত অবস্থায় সংরক্ষণ করা হয়, তাহলে তারা পরলোকে অনন্ত শান্তির জীবন যাপন করতে পারবে।
MulRochona2904PyramidGiza.gif
মিশরীয়রা মৃতদেহ সংরক্ষণের একটি বিশেষ পদ্ধতি আবিস্কার করেছিলো, যাতে করে তারা প্রায় অক্ষত অবস্থাতেই মৃতদেহ সংরক্ষণ করতে পারতো। এই বিশেষ পদ্ধতিতে সংরক্ষিত মৃতদেহকে বলা হয়- মমি। এই মমিকে ফারাওরা বিশাল এবং সুরক্ষিত সমাধির মধ্যে রাখতো, যাতে এর সামান্য অংশটুকু ও নষ্ট না হয়। এই সমাধিটি আমাদের কাছে পিরামিড নামে পরিচিত।

পিরামিড দেখতে অনেকটা ত্রিভুজের মতো। এই পিরামিডের সবচে বড় এবং প্রাচীনটি স্থাপনাটির নাম হলো- গিজার পিরামিড। গিজার পিরামিডকে ফারাও রাজা খুফুর পিরামিড ও বলা হয়ে থাকে। এই পিরামিডটি তৈরি করা হয়েছিলো প্রায় ৪৫০০ বছর আগে। গিজার পিরামিড এতোটাই বিশাল যে হাজার হাজার শ্রমিকের এটি তৈরি করতে সময় লেগেছিলো প্রায় ২০ বছর । মাত্র ২০০ বছর আগেও গিজার পিরামিডই ছিলো পৃথিবীর সবচাইতে উঁচু স্থাপনা। এটি নির্মাণ করতে লেগেছিলো প্রায় বিশ লক্ষ পাথরের টুকরো, যার একেকটির ওজন প্রায় বর্তমানের একটি গাড়ির সমান। প্রাচীন পৃথিবীর আশ্চর্যগুলোর মধ্যে এই স্থাপনাটিই এখনো টিকে আছে পৃথিবীতে।
ব্যাবিলনের শূন্য উদ্যান
MulRochona2904hangingGarden.gif
যেকোনো বাগানে গিয়ে বিভিন্ন রঙের ফুল, প্রজাপতি এসব দেখতে কার না ভালো লাগে! আর বাগানটি যদি হয় মাটি থেকে উঁচুতে, অনেকটা উপরে, তাহলে তো কথাই নেই! এরকমই একটি বাগান হলো ব্যাবিলনের শূন্য উদ্যান। আমরা সবাই জানি ইরাক দেশটির অধিকাংশ জুড়েই রয়েছে মরুভূমি। অনেক দিন আগে এই দেশেই ব্যাবিলন নামে একটি শহর ছিলো। এ শহরটি গড়ে উঠেছিলো ইউফ্রেটিস নদীর তীরে। সেই সময় ব্যাবিলন শহরের রাজা ছিলেন নেবুচ্যাডনেজার, অদ্ভুত নাম তাই না!। তিনি একদিন এক অদ্ভপরিকল্পনা করলেন। স্ত্রীর বিনোদনের জন্য মরুভূমির ভিতরেই একটি উদ্যান তৈরির কথা ভাবলেন। তোমরা সবাই জানো যে, মরুভূমিতে গাছ বাঁচানো এক মহা সমস্যার কথা। কারণটা সেখাকার পানির স্বল্পতা। কাজেই স্বাভাবিকভাবে তো সেখানে বাগান তৈরি করা এক কথায় অসম্ভব। এজন্যই রাজা এক বিশেষ পদ্ধতিতে বাগান তৈরির পরিকল্পনা করলেন। প্রথমেই তিনি পাহাড়ের মতো একটি জায়গা তৈরি করলেন। তারপর এই পাহাড়কে কয়েকটি তলায় ভাগ করে প্রতিটি তলার চারপাশে বারান্দা তৈরি করলেন। এই বারান্দাতেই নানা রঙের ফুল ও শোভবর্ধনকারী গাছ লাগানো হয়েছিলো। এই উদ্যানটি দেখলে মনে হতো যে গাছগুলো সব শূন্যে ভেসে আছে। মরুভূমিতে কোনো গাছ জন্মানো দুঃসাধ্য প্রায়। সেই জায়গায় এমন সুন্দর একটি বাগান তৈরি রীতিমতো আশ্চর্যের বিষয় ছিলো বৈকি। এই বাগানটি অবশ্য অনেক আগেই ধ্বংস হয়ে গিয়েছে।  কয়েক বছর আগে কিছু বিজ্ঞানী ব্যাবিলনের এই উদ্যানটির কিছু ভাঙা দেয়াল খুঁজে পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন।
আর্টেমিসের মন্দির

প্রাচীন যুগে গ্রীস এবং রোমের মানুষরা বিভিন্ন দেব-দেবীর পূজা করতো। প্রাচীন গ্রীসের এক দেবীর নাম ছিলো- আর্টেমিস। রোমানরা আবার তাকে বলতো দেবী ডায়ানা। দেবী আর্টেমিস বা ডায়ানা ছিলেন শিকারের দেবী। সেই যুগে বেশিরভাগ মানুষ শিকার করেই জীবিকা নির্বাহ করতো বলে দেবী আর্টেমিসের গুরুত্ব ছিলো অনেক। এজন্যই গ্রিকরা খ্্রীষ্টপূর্ব ৮০০ অব্দে ইফিসাস নগরীতে দেবী আর্টেমিসের মন্দির নির্মাণ করে। এই ইফিসাস নগরীটি বর্তমানে আমাদের কাছে পরিচিত তুরস্ক হিসেবে।
MulRochona2904templeArtemis.gif
তৈরি হবার পর থেকে বহুবার এই মন্দিরটি ধ্বংস হয়ে যায়। আবার প্রতিবারই নতুন করে এটি গড়ে তোলা হয় ঠিক সেই এক জায়গাতেই। প্রথমবার আর্টেমিসের মন্দির তৈরি করতে সময় লেগেছিলো প্রায় ১২০ বছর। আর্টেমিসের মন্দির নিয়ে একটি গল্প প্রচলিত আছে। খ্রীষ্টপূর্ব ৫৫০ অব্দে এক লোক বিখ্যাত হবার লোভে নাকি আর্টেমিসের মন্দিরটি পুড়িয়ে ফেলেছিলো। মন্দির পুড়িয়ে দেবার পর ইফিসাসে আইন করে ঐ লোকের নাম উচ্চারণ করাই নিষিদ্ধ করে দেয়া হয়। ঐ লোকটির নাম উচ্চারণ করার একটিই শাস্তি ছিলো, তা হলো মৃত্যুদন্ড! নামটা শুনতে ইচ্ছা করছে তাই না? এখন অবশ্য তার নামটি নির্ভয়েই নেয়া যায়, কেউ তো এখন আর মৃত্যুদ- দেবে না! লোকটির নাম ছিলো হেরোসট্রেইটাস।

খ্রীষ্টপূর্ব ২০০ অব্দে গথ’রা মন্দিরটি ভেঙে দেবার পর আর সেটি নির্মাণ করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। ভেঙে ফেলার শত শত বছর পর, ১৮০০ খ্রীষ্টাব্দে ব্রিটিশ মিউজিয়ামের একটি অনুসন্ধানী দল মন্দিরটির ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পেয়েছিলো।
অলিম্পিয়ার জিউসের মূর্তি
MulRochona2904zeus.gif
গ্রীকদের প্রধান দেবতার নাম জিউস। তিনি সব দেব-দেবীর তুলনায় অনেক বেশি শক্তিশালী। খ্রিষ্টপূর্ব ৪৩৫ অব্দে গ্রীকরা অলিম্পিয়া নগরীতে মন্দির নির্মাণ করে সেখানে দেবতা জিউসের একটি বিশাল মূর্তি স্থাপন করে। এটি উচ্চতায় ছিলো প্রায় ৪০ ফুট। এই বিশাল মূর্তিটি দেখতেও ছিলো অসাধারণ। মূর্তিটির বিশালতা ও সৌন্দর্যের কারণেই এটি প্রাচীন পৃথিবীর আশ্চর্যগুলোর মধ্যে একটি। জিউসের মন্দির তৈরির আরো একটি বিশেষ উদ্দেশ্য ছিলো- অলিম্পিক। পৃথিবীর বিশাল এই খেলার আসরটিকে দেবতা জিউসের আশীর্বাদ পুষ্ট করতেই জিউসের এই বিশাল মূর্তিটি তৈরি করা হয়েছিলো। তবে বর্তমানে মূর্তিটির খুব সামান্য অংশই অবশিষ্ট আছে।
রোডস এর মূর্তি
MulRochona2904Rhodes.gif
তোমরা তো মহাবীর আলেকজান্ডারের কথা সবাই জানো। পৃথিবীর ইতিহাসে সর্বশ্রেষ্ঠ বীর হলেন আলেকজান্ডার। তিনি বেঁচেছিলেন মাত্র ২৩ বছর। এই অল্প সময়েই তিনি পৃথিবীর অনেক অংশ জুড়ে তার রাজ্য বিস্তার করেছিলেন। তার রাজ্যের মধ্যে আটলান্টিক সাগরের মেডিটেরিয়ান অঞ্চলের রোডস দ্বিপটিও ছিলো। রোডস দ্বিপটি ছিলো প্রাচীন গ্রীস দেশের একটি অংশ। এই দ্বিপটি ছিলো ব্যবসা বাণিজ্যের কেন্দ্রবিন্দু। মহাবীর আলেকজান্ডার অল্প বয়সেই কোন এক পোকার কামড়ে  খ্রিষ্টপূর্ব ৩০০ অব্দে মারা যান। আলেকজান্ডার এর মৃত্যুর পর তার তিন সেনাপতির মধ্যে রোডস দ্বিপটি দখল করা নিয়ে মতবিরোধ দেখা দেয়। রোডস দ্বীপের মানুষ জেনারেল টলেমির পক্ষে ছিলো। দুর্ভাগ্যবশত জেনারেল টলেমি মিশর দখল করলেও গ্রীসের এই অংশটি দখল করতে পারেন নি। অন্য একজন জেনারেল দ্বীপটির দখল নেন। কিন্তু রোডস দ্বীপের মানুষ এই জেনারেলকে সমর্থন না করায় তিনি বেদম চটে যান। তিনি তার ছেলেকে রোডসের মানুষদেরকে শায়েস্তা করতে বলেন। শায়েস্তা করতে এসে ঐ জেনারেলের ছেলে ব্যর্থ হন। অন্যদিকে জেনারেল টলেমি মিশর থেকে একটি সৈন্য দল পাঠান দ্বীপটিকে শত্রু মুক্ত করতে। তখন রোডসের জনগণ ও সৈন্যবাহিনী মিলে শহরকে শত্রু মুক্ত করেন।

শত্রুদের ফেলে দেওয়া অস্ত্র ও অন্যান্য ফেলে দেয়া জিনিস গলিয়ে প্রচুর তামা পেয়েছিলো রোডস এর মানুষরা। এই তামা দিয়ে তখন তারা সূর্য্য দেবতা হিলিয়াসের এক বিশাল মূর্তি নির্মাণ করে। মূর্তিটি ছিলো ১১০ ফিট উঁচু। এর ভিত্তিপ্রস্তরের উচ্চতা ছিলো ৫০ ফিট। এই সুবিশাল মূর্তিটি তৈরী করতে সময় লেগেছিলো সুদীর্ঘ ১৫ বছর । খ্রীষ্টপূর্ব ২২৯ অব্দে এক ভূমিকম্পে এটি ধ্বংস হয়ে যায়। পরবর্তীতে আর সংস্কার করা হয়নি। এই আশ্চর্য মূর্তিটি শুধু মানুষদের বিস্মিতই করেনি, স্থাপত্যবিদদেরকেও অনুপ্রেরণা দিয়েছিলো। ফলে রোডসের সেই আশ্চর্য মূর্তির ছায়াটি আমরা যেন নিউ ইয়র্কে অবস্থিত স্ট্যাচু অফ লিবার্টির ভিতরে দেখতে পাই।
আলেকজান্দ্রিয়ার বাতিঘর
MulRochona2904lighthouse.gif
সমুদ্রের তীরে পাহাড় বা কোন টাওয়ারের উপর বাতিঘর তৈরি করা হয়। জিজ্ঞেস করতেই পারো যে কি কাজ এই বাতিঘরের? বাতিঘরের কাজ হলো রাতের অন্ধকারে কোনো জাহাজকে জাহাজঘাটায় নিরাপদে ভেড়ানোর জন্য পথ দেখানো, যাতে ডুবো পাহাড়ের সঙ্গে জাহাজটি ধাক্কা না খায়। প্রাচীনকালে উঁচু কোনো জায়গায় কাঠ পুড়িয়ে আলো তৈরি করে বাতিঘর নির্মাণ করা হতো। প্রাচীন পৃথিবীর সবচে উঁচু ও বিস্ময়কর বাতিঘরটির নাম হলো আলেকজান্দ্রিয়ার বাতিঘর। কোথায় এটি? শোনো তবে, ভূমধ্যসাগরের উপকূলে মিশরের ফারোস নামের এক দ্বীপ ছিলো । সেখানে আলেকজান্দ্রিয়ার একটি বিখ্যাত জাহাজঘাটায় খ্রীষ্টপূর্ব ২৯০ অব্দে একটি বিশাল বাতিঘর নির্মিত হয়। বাতিঘরটির উচ্চতা ছিলো প্রায় ৩০০ ফুট। আলেকজান্দ্রিয়ার বাতিঘর শুধু রাতে আসা জাহাজগুলোকে নিরাপদে ঘাটে ভিড়াবার ব্যবস্থাই করতো না, এটি সেই সময় একটি দর্শনীয় জায়গাও ছিলো। পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গা থেকে পর্যটকরা এটি দেখতে আসতেন। বাতিঘরের নিচতলায় তাদের জন্য খাবারের দোকানও ছিলো। ১৫০০ খ্রীষ্টাব্দের দিকে ভূমিকম্পে বাতিঘরটি পড়ে যায় বলেই বিজ্ঞানীরা মনে করেন। এখনও ডুবুরীরা ভূমধ্যসাগরে এই বাতিঘরের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে বেড়ায়।
হ্যালিকারনেসাস এর সমাধি মন্দির
MulRochona2904Halicarnessus.gif
এশিয়া মাইনরের ছোট্ট একটি রাজ্য, রাজা মোসালাস তা শাসন করতেন। সেই রাজ্যের রাজধানীর নাম ছিলো হ্যালিকারনেসাস। রাজা মোসালাসের স্ত্রী ছিলেন রাণী আর্টেমিসিয়া। খ্রীষ্টপূর্ব ৩৫৩ অব্দে রাজা মোসালাস হঠাৎ মারা গেলে রাণী আর্টেমিসিয়া তার স্বামীর জন্য একটি স্মৃতিসৌধ তৈরী করবেন বলে সিদ্বান্ত নেন। তিনি তৈরি করেন পৃথিবীর মধ্যে সবচে চমকপ্রদ স্মৃতিসৌধটি। সম্পূর্ণ মারবেল পাথরের তৈরী এই স্মৃতিসৌধটি ছিলো খুবই সুন্দর ও আর্কষণীয় । অনেক দূরদূরান্ত থেকে মানুষ এই আশ্চর্য স্মৃতিসৌধটি এক পলক দেখার জন্য আসতেন। এই সমাধিটি উচ্চতায় ছিলো প্রায় ১৩৫ ফুট। এর উপরের দিকে মোট ৩৬ টি স্তম্ভ ছিলো। দুটি স্তম্ভের মাঝে একটি করে মূর্তি ছিলো। আর সমাধিটির ছাদটি ছিলো পিরামিড আকৃতির। সম্ভবত কোনো বড়ো ধরনের ভূমিকম্পে এটি ধ্বংস হয়ে গিয়েছিলো। বর্তমানে স্মৃতিসৌধটির মাত্র কয়েকটি টুকরো অবশিষ্ট আছে।

শুনলে তো প্রাচীন পৃথিবীর সপ্তাশ্চর্যের কথা। এগুলো আমাদের কাছে এখনও বিস্ময়ের এখনো রহস্যমণ্ডিতই রয়ে গেছে। কি করে তখনকার মানুষজন এতো সুন্দর স্থাপনাগুলো তৈরি করেছিলো, যা আমাদের পক্ষে তৈরি করা এখনও দুঃসাধ্য! এরকম আরো অনেক আশ্চর্যের জিনিস রয়েছে আমাদের এই পৃথিবীতে। সেসব নিয়ে না হয় আরেকদিন গল্প করা যাবেখন।